Saturday 16 March 2019

শার্লক হোমস অনুবাদ



শার্লক হোমস অনুবাদ।


প্রায়ই নানান গ্রুপে অনেকেই জানতে চান শার্লক হোমসের কোন অনুবাদটা ভালো। বাজারে এত খারাপ খারাপ অনুবাদ বইজাত হয়ে বিক্রি হচ্ছে যে বাধ্য হয়ে এই পোস্টটি দিচ্ছি। এই বিষয়ে শার্লক হোমসের A Scandal in Bohemia-র একটা অনুচ্ছেদ তুলে ধরছি মূল ইংরাজিতে। এর অনুবাদ হওয়া বইগুলির একটি করে পাতা তুলে দিচ্ছি। কোনটা ভালো বা কোনটা খারাপ পাঠক নিজেই বুঝে নেবেন।




১। বাজার চলতি সমগ্রের মধ্যে সবচেয়ে দামী, লালমাটি প্রকাশিত শার্লক হোমস সমগ্র। এককালে বেঙ্গল পাবলিশার্স পাঁচ খণ্ডে বার করেছিলেন। এখন সটীক। সৌম্যেন পাল ও প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত-র সম্পাদনা করা।  তবে অনুবাদটি পড়লেই বোঝা যায় এটি সম্পুর্ণ অনুবাদ নয়। পাঁচ লাইনেই প্রথম অনুচ্ছেদ সমাপ্ত। পাঠকের জানা উচিত এই বইটি সম্পূর্ণ অনুবাদ নয় বরং সংক্ষেপিত।

২। দ্বিতীয় বইটি তুলি-কলম প্রকাশিত শার্লক হোমস অমনিবাস। অনুবাদ মণীন্দ্র দত্ত। চার খণ্ডে সম্পুর্ণ। বর্তমানে একখণ্ডে পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ অনুবাদ।



৩। তৃতীয় বইটি আমার ব্যক্তিগত পছন্দের। আমার দ্বিতীয় হোমসের বই। শার্লক হোমস সমগ্র। অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির। বিভিন্ন জনের অনুবাদ। সম্পাদনা অমিয়কুমার চক্রবর্তী। সম্পুর্ণ অনুবাদ। বর্তমানে পাওয়া যায় না। পরবর্তীকালে এটিরও একটি অখণ্ড সংস্করণ বের হয়।


এর বাইরে সম্পূর্ণ হোমস বলে যে অনুবাদগুলি বাজারে চলছে তার দু একটি নমুনা দিয়ে দিলাম। কী রকম অনুবাদ, আপনারা নিজেরাই বুঝে নিন।

























সমগ্রর বাইরে আর যে বইটি খুব বিখ্যাত, সুভদ্রকুমার সেনের অনুবাদে, আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। ভালো অনুবাদ। কিন্তু দেখবেন এই গল্পের ক্ষেত্রে প্রথম অনুচ্ছেদ বাদ দিয়ে গল্পটি শুরু হচ্ছে।


আরেকটি বই দ্য এ্যাডভেঞ্চার্স  অফ শার্লক হোমস। আদিত্য প্রকাশালয়ের। সুবোধ চক্রবর্তীর অনুবাদ। আমার বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু বইটিতে মাত্র পাঁচটি গল্প আছে।


অতএব অনুবাদ কেনার সময় একটু বেছে কিনবেন।

#Sherlock Holmes

Tuesday 12 March 2019

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জন্মদিন পালন


তিরিশ বছর আগে জন্ম নিয়েছিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। ১৯৯৩ সালে তা সাধারণ মানুষের ব্যবহারে আসে। আমরা ব্যবহার শুরু করি ১৯৯৯ সালে। যারা এই বিষয় জানতেন তারা একটা বাংলা নামও দিয়েছিলেন। জগৎ জোড়া জাল। আমরা বেরিয়েছিলাম ইন্টারনেটে দুর্গাপুজা দেখাতে। বিজ্ঞাপণ আনতে গিয়ে শুনতে হয়েছে, ভাই ইন্টারনেটটা কী? খায় না মাথায় দেয়? পরিচিত, বন্ধুবান্ধব রাও ঠেস দিয়ে কথা বলত। আমাদেরই একজন বলেছিল হেঁটে নয় নেটে। লিখে ফেললাম আমন্ত্রণপত্র, যা দেবি ইন্টারনেটেষু ডটকমরূপেণ সংস্থিতা... নমস্তেসৈ ইত্যাদি। পরবর্তীকালে চন্দ্রবিন্দু গান লিখল, যা বেবি দৌড়ে যাবি, শিখবি মাল্টিমিডিয়া। দুনিয়া ডট কম। তখন ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপণ চাইতে গিয়ে মাসের পর মাস ঘুরেছি। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-ফোর এ যা দেখা যায় তা থ্রি পয়েন্ট ওয়ানে তা দেখায় না। সদ্য তৈরি করা ফ্ল্যাশের অ্যানিমেশন এক মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির সাউথ এশিয়ান হেডের ল্যাপটপে ভেঙে ভেঙে আসছে। বোঝাতেই পারা যাচ্ছে না যে আপনার ব্রাউসার আপ টু ডেট নয়। এইরকম নানা কথা আজ মনে পড়ল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জন্মদিন পালন দেখে।

তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ এক কুড়ি বছর। আজ সবাই নেট বিনে কানা।