বইয়ের দুনিয়া
সেটা বোধহয়
২০০৫ সালের কথা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ মানেই বইমেলার শুরু। আর প্রায় পনেরো বছর ধরে বা বেশীও হতে পারে এই বইমেলার সময় বিশেষ সংখ্যা বার করে
দেশ পত্রিকা। প্রথমের দিকে বইমেলা সংখ্যা নামে না থাকলেও পরবর্তীতে
এই নাম চালু হয়ে যায়। এই পত্রিকার পাঠকমাত্রই জানেন যে বই সম্বন্ধীয়
লেখা আর বইয়ের বিজ্ঞাপণের জন্য এই সংখ্যাটি বই পড়ুয়াদের বিশেষ পছন্দ।
তা পাড়ার
মুখে গেছি, আমাদের ছোটকাদার কাগজের দোকানে,
দেখি এক ছোট বই, নাম বইয়ের দেশ। আমি ভাবলাম বোধহয় বই সংখ্যা ছোট হয়ে বেরিয়েছে। কিনে বাড়ি নিয়ে গেলাম। বেশ অন্য রকম বই। বই নিয়ে প্রায় দু তিন পাতা আলোচনা, বিশাল সাক্ষাৎকার, শেষের দিকে সদ্য প্রকাশিত
ও প্রকাশিতব্য বইয়ের তালিকা, প্রকাশক ও মূল্য সহ। এর কিছুদিন পরেই দেশের নিয়মিত বই সংখ্যা বের হয়। আমরা বই নিয়ে এক
নতুন পত্রিকা উপহার পেলাম। চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটা পত্রিকা
রাখার। একটা অনলাইন সংখ্যা বাদ দিয়ে সবকটি সংখ্যাই সম্ভবত আছে।
এতগুলো কথা বলতে হল একটা ঘটনায়। আমি সেদিন জানুয়ারির প্রথমে সন্দীপ দাশগুপ্তের পুজোসংখ্যার অলঙ্করণ বইটি কিনে পড়েছি। পড়ে এক রাশ ভালোলাগার কথাই জানিয়েছিলাম ফেসবুকে। পরদিন সকালে আমার ফেসবুক বন্ধু পার্থ মুখোপাধ্যায় মেসেঞ্জারে জানালেন, লেখাটি একটি বইয়ের পত্রিকার জন্য চাই। অনুমতি চান। আমি সানন্দে অনুমতি দিলাম। বললেন বইমেলা সংখ্যায় লেখাটি বেরোবে।
ফারসি কবিতা নিয়ে বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তীর লেখা। রাধাপ্রসাদ গুপ্ত কে নিয়ে বা তার কলকাতার শব্দ নিয়ে সরজিৎ সেনগুপ্তের প্রবন্ধ পুরনো কথা মনে করিয়ে দেয়। অন্বয় গুপ্তের - যে শিবরাম চক্রবর্তীকে নিয়ে আলোচনা হয় না বলে দু পাতা জোড়া প্রবন্ধটি পত্রিকার সম্পদ। নতুন বই শীর্ষনামে দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের গৌতম বুদ্ধের পথ ধরে, গৌতম মিত্রের প্রফেসর মাল্যবান দাশগুপ্ত নিয়ে নিজেরাই আলোচনা করেছেন। মনে পড়ে শীর্ষক আলোচনায় বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে বলেছেন, ছবিও তাঁর আঁকা।
আরো অনেক আলোচনার মধ্যে আমার লেখাটি স্থান পেয়ে নিয়েছে। পত্রিকার পাতায় লেখাটা দেখার পর বুঝেছি লেখাটি একটু বড়ই হয়ে গেছে। যারা লেখাটি ধৈর্য ধরে পড়েছেন এবং সম্পাদকীয় দপ্তর যারা লেখাটি মনোনয়ন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।